মানুষের সব কথা বলা হয়ে গেছে
উপালি শ্রমণ
মানুষের সব কথা বলা হয়ে গেছে,
দুঃখ, বেদনা, প্রেম ভালোবাসার,
সুখ, শান্তি, কামনা ও হিংসার,
সব কথা বলা হয়ে গেছে।
মেঘদূতের মতো বিচ্ছেদের হাহাকার
কে আর লিখবে?লেখার কি প্রয়োজন আছে?
মনের মানুষের জন্য যে ব্যাকুলতা
লালনের গানে সর্বত্র বিস্তৃত –
সে কথার পুনরুক্তি কে আর করবে?
কবিগুরুর শাশ্বত গানে হৃদয় সিক্ত হয় অবাধ প্রেমে
জীবনানন্দ দাস বাংলার নদী জল মাঠ ভালবেসে
অমরত্ব করেছেন দান,
বিদ্রোহ ও স্বাধীনতার ভাষা শেখালেন
কবি নজরুল, শামসুর রাহমান।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলো লেখা হয়ে গেছে
সহস্র বিচিত্র শব্দ নিরন্তর ভোগ করে –
সুপুষ্ট গ্রন্থাগারের অভিধান,
আর কোন নতুন শব্দজোটের ক্ষুধা নেই তার
তবুও প্রতি বসন্তে মনে হয় আমার
বাগানে এইবারই বুঝি প্রথম ফুল ফুটেছে,
মনে হয় কোকিলের ডাক আমি শুনি নি কোনোদিন আগে,
প্রত্যেক পূর্ণিমা চাঁদে আবার প্রশ্ন জাগে –
পূর্ণিমা চাঁদ কি কখনো পুরনো হবে?
মানুষের সব কথা আসলেই কি বলা হয়ে গেছে?
সেই কবে আদি মানব আর মানবী নিষিদ্ধ ফলটি খেয়েছিল বলে
মানুষের সকল ক্ষুধা কি মিটে গেছে?
(ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১ )